দাঁতের যত্নে ডেন্টাল ফ্লসিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ডেন্টাল ফ্লস হল ভাল ওরাল হাইজিন বজায় রাখার জন্য এবং দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ প্রতিরোধে একটি অপরিহার্য হাতিয়ার। ছোট আকারের সত্ত্বেও, ফ্লসিং দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির নীচে জমা হতে পারে এমন ফলক এবং খাদ্য কণা অপসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার প্রতিদিনের ওরাল কেয়ার রুটিনে ফ্লসিং অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি আপনার দাঁত এবং মাড়িকে সুস্থ রাখতে এবং দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারেন। প্লাক নিয়মিত অপসারণ না করলে দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ হতে পারে। একা ব্রাশ করলে দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির আঁটসাঁট জায়গায় প্লাক তৈরি হতে পারে না, যেখানে ফ্লসিং আসে। ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করে, আপনি এই জায়গাগুলি থেকে প্লাক এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে পারেন, দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফ্লসিং দাঁতের মাঝখানে জমা হতে পারে এমন খাদ্য কণা অপসারণ করতেও সাহায্য করে। এই কণাগুলি ব্যাকটেরিয়াকে আকর্ষণ করতে পারে, যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। নিয়মিত ফ্লস করে, আপনি এই কণাগুলি অপসারণ করতে পারেন এবং আপনার শ্বাসকে সতেজ রাখতে পারেন। ফ্লসিং আপনার মাড়ির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও সাহায্য করতে পারে। যে মাড়িগুলি সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয় না সেগুলি ফুলে যায় এবং সহজেই রক্তপাত হতে পারে, যা মাড়ির রোগ হতে পারে। নিয়মিত ফ্লসিং করে, আপনি গামলাইন থেকে ফলক এবং খাদ্য কণা অপসারণ করতে এবং প্রদাহ এবং রক্তপাত কমাতে সাহায্য করতে পারেন। দিনে অন্তত একবার ফ্লস করার পরামর্শ দেওয়া হয়, আদর্শভাবে আপনার দাঁত ব্রাশ করার আগে। আপনি ঐতিহ্যগত ফ্লস বা ইন্টারডেন্টাল ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন, যেমন ওয়াটার ফ্লসার বা ফ্লস পিক। ফ্লস করার সময়, আপনার দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির নীচে ফ্লস কাজ করার জন্য একটি মৃদু পিছনে এবং সামনে গতি ব্যবহার করুন। প্রতিটি দাঁতের উভয় পাশে ফ্লস করতে ভুলবেন না এবং প্রতিটি দাঁতের গোড়ার চারপাশে আলতো করে ফ্লসটি বাঁকুন। উপসংহারে, ভাল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা এবং দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ফ্লসিং একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার প্রতিদিনের মৌখিক যত্নের রুটিনে ফ্লসিং অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির নীচে আঁটসাঁট জায়গা থেকে ফলক এবং খাদ্য কণা অপসারণ করতে, আপনার মাড়ির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং আপনার শ্বাসকে সতেজ করতে সাহায্য করতে পারেন। সেরা ফলাফলের জন্য দিনে অন্তত একবার ফ্লস করতে ভুলবেন না। ফ্লসিং: কী কী ধাপ অনুসরণ করতে হবে? আপনার দাঁত সঠিকভাবে ফ্লস করতে এই ধাপে ধাপে নির্দেশিকা অনুসরণ করুন। প্রায় ১৮ থেকে ২৪ ইঞ্চি ডেন্টাল ফ্লস ভেঙে ফেলুন। ফ্লসটিকে সঠিকভাবে ধরে রাখতে, বেশিরভাগ ফ্লস আপনার মধ্যম আঙ্গুলের চারপাশে ঘুরিয়ে দিন। আপনার দাঁতের জন্য মাত্র ১ থেকে ২ ইঞ্চি ফ্লস ছেড়ে দিন। এর পরে, আপনার থাম্বস এবং তর্জনী দিয়ে টানটান ফ্লস ধরে রাখুন। দুই দাঁতের মাঝে ডেন্টাল ফ্লস রাখুন। আস্তে আস্তে ফ্লসটিকে উপরে এবং নীচে গ্লাইড করুন, প্রতিটি দাঁতের উভয় পাশে এটি ঘষুন। আপনার মাড়ির মধ্যে ফ্লস গ্লাইড করবেন না। এটি আপনার মাড়িতে আঁচড় বা ক্ষত তৈরি করতে পারে। ফ্লস আপনার মাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথে ফ্লসটিকে দাঁতের গোড়ায় বাঁকিয়ে C আকৃতি তৈরি করুন। এটি ফ্লসকে আপনার মাড়ি এবং দাঁতের মধ্যবর্তী স্থানে প্রবেশ করতে দেয়। দাঁত থেকে দাঁতে যাওয়ার সময় ধাপগুলি পুনরাবৃত্তি করুন। প্রতিটি দাঁতের সাথে, ফ্লসের একটি নতুন, পরিষ্কার অংশ ব্যবহার করুন।
হিলের কারণে যে যে সমস্যাগুলি হতে পারে: জয়েন্টে ব্যথা: যে কোনও ভালো মানের জুতোতেই শক অ্যাবজ়র্বার থাকে, হিলের ক্ষেত্রে সে সুবিধেটাই নেই। হিল পরলে পায়ের পাতাটা সব সময় সোজা হয়েই থাকে, জুতোর মধ্যে নড়াচড়ার কোনও স্কোপ থাকে না। ফলে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলার সময় হাঁটুর উপর বাড়তি চাপ পড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শোধ তুলতে আরম্ভ করবে আপনার হাঁটু। যাঁদের আর্থারাইটিসের সমস্যা আছে, তাঁরা যদি লাগাতার হিল পরেন, তা হলে কি হতে পারে আন্দাজ করতে পারছেন কী? পায়ে কড়া: হাই হিল, বিশেষত পয়েন্টেড টো শেপের হাই হিল যাঁরা নিয়মিত পরেন, তাঁদের পায়ের আঙুলে কড়া পড়ে খুব তাড়াতাড়ি। কারণ আর কিছুই নয়, হিল আপনাকে এমনভাবে হাঁটতে বাধ্য করছে যাতে আঙুলের দু’পাশে আর গোড়ালিতে বাড়তি চাপ পড়ছে। কুদর্শন কড়ার কল্যাণে সময় এমন আসবে যে আপনি পা ঢাকা জুতো ছাড়া অন্য জুতো আর পরতেই পারবেন না! কোমরে ব্যথা: হিল পরে যখন আপনি হাঁটাচলা করেন, তখন পেলভিসটা সামনের দিকে এগিয়ে থাকতে বাধ্য হয়। তার ফলে প্রচন্ড চাপ পড়ে আপনার লোয়ার ব্যাকে, তারই ফলশ্রুতি কোমরে নিদারুণ ব্যথা। কুশনের অভাব: আপনি ফ্ল্যাট বা প্ল্যাটফর্ম হিল পরলে শরীরের ওজন পুরো পায়ের পাতায় ভাগ হয়ে পড়ে, হিল পরলে পুরোটা পড়ে স্রেফ গোড়ালির উপর। এর ফলে গোড়ালিতে যে ব্যালান্স থাকে, সেটা ক্রমশ হারাতে আরম্ভ করে। একান্তই যদি হিল পরতে হয়, তা হলে কী করবেন? খুব সোজা, যে সময়টুকু না পরলেই নয়, সেই সময়েই কেবল হাই হিল পরুন। দরকারে অফিসে এক সেট আরামদায়ক ফ্ল্যাট রেখে দিন। প্ল্যাটফর্ম হিল পরতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়, তাতে শরীরের চাপটা কেবল গোড়ালির উপর পড়ে না। ভালো কোম্পানির হিল কেনা উচিত, তাদের উন্নতমানের রিসার্চের ফলে কমবে আপনার কষ্টের ভাগ।
নাম, ফোন নাম্বার, জায়গার নাম মনে রাখতে পারেন না? বলা হয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে যুক্তি তৈরির ক্ষমতা, দ্রুত জবাব তৈরির মতো মানসিক ক্ষমতা কমতে থাকে। কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়লেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। সহজ কিছু কায়দাকানুনের মাধ্যমে মগজের শক্তি বাড়ানো যায়: ১. ব্যায়ামে মস্তিষ্কের আকার বাড়ে ছবির ক্যাপশান,শরীর আর মনের সুস্থতার চাবিকাঠি হচ্ছে ব্যায়াম। এটা খুব সত্যি কথা। শরীরচর্চা করলে দেহের পেশির সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে মগজে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়। আর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের ফলে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। আর আপনি যদি খোলা জায়গায় ব্যায়াম করেন, তাহলে বাড়তি পাওনা হলো ভিটামিন ডি। টিপস: শরীর চর্চার পাশাপাশি নতুন জায়গায় বেড়াতে যান, নতুন ধরনের কাজ শুরু করুন। অথবা নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে কাজ করুন। যেমন, যদি আপনার শখ হয় বাগান করা, তাহলে আরো কিছু বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাগান করুন। পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে ভাল লাগলে, সাথে যাওয়ার সঙ্গী খুঁজে বের করুন। শুধু খেয়াল রাখবেন পুরো ব্যাপারটি যেন আপনি উপভোগ করতে পারেন। এতে মস্তিষ্কের ওপর ব্যায়ামের উপকারিতা বাড়ে। ২. হাঁটাচলায় বাড়ে স্মৃতিশক্তি ছবির ক্যাপশান,বাগান করার মধ্য দিয়ে শরীরের ব্যায়াম হয়, তেমনি মনেরও ব্যায়াম হয়। বহু গবেষণায় এটা প্রমাণিত। অভিনেতারাও এই কাজটা করে থাকেন। কোন শব্দ বা বাক্য যদি আপনি হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটা বহুদিন ধরে আপনার মনে থাকবে। টিপস: এরপর কোন বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন মুখস্থ করতে হলে সেটা হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করার চেষ্টা করুন কিংবা একটু বাইরে ঘুরে আসুন। ৩. মগজের শক্তির জন্য বেছে নিন সঠিক খাবার ছবির ক্যাপশান,আপনার পাকস্থলী ঠিক মানে আপনার মগজও ঠিক। আপনার খাবারের ২০% শর্করা এবং শক্তি আপনার মস্তিষ্কে যায়। মস্তিষ্কের কাজের পুরোটাই নির্ভর করে তার গ্লুকোজের মাত্রার ওপর। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রায় হেরফের হলে আপনার মনেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। যেসব খাবার আপনারা খুব পছন্দ সেগুলো খেলে আপনার মস্তিষ্কের ‘রিওয়ার্ড এরিয়ায়’ ডোপামিন রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আপনার মনে খুশি খুশি ভাব হয়। কিন্তু মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার পেটের দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের দেহের পরিপাকতন্ত্রে একশো ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীব বসবাস করে। এরা আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গেও সংযোগ রক্ষা করে। মগজের সুস্থতার জন্য এই অণুজীবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। আসলে, পাকস্থলীকে অনেক সময় ‘দ্বিতীয় মগজ’ বলে ঢাকা হয়। পেটে নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার ঢুকলে এসব অণুজীবের মাধ্যমে তার সুফল মস্তিষ্কে পর্যন্ত পৌঁছায়। টিপস: মস্তিষ্কের কোষ ফ্যাট অর্থাৎ স্নেহ পদার্থ দিয়ে তৈরি। তাই খাবার থেকে তেল-চর্বি একেবারে বিদায় না করাই ভাল। বাদাম, তেলের বীজ, মাছ ইত্যাদি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে জন্য ভাল। আর খাবার সময় একা একা না খাওয়াই ভাল। সবার সাথে বসে খাবার খেলে তা মস্তিষ্কের জন্য সুফল বয়ে আনে। ৪. খুঁজে নিন অবসর ছবির ক্যাপশান,পরিশ্রমের ফাঁকে ফাঁকে অবসর নেয়াও জরুরি। স্বল্প মাত্রার মানসিক চাপ আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে বিপদের সময় বা জরুরি প্রয়োজনে পরিস্থিতিকে দ্রুত মোকাবেলার শক্তি পাওয়া যায়। কর্টিসল বলে হরমোনের কারণে দেহ-মন চাঙা হয় এবং মনোযোগের একাগ্রতা বাড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ মস্তিস্কের জন্য খুবই খারাপ। সুতরাং, কাজের ফাঁকে অবসরের সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মস্তিষ্ককে অবসর দিয়ে, এবং নিজেকে মূলত: সুইচ অফ করে, আপনি আপনার মগজের ভিন্ন একটি অংশকে ব্যায়াম করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এরপর যদি কেউ দেখে যে আপনি কাজের মধ্যে বসে দিবাস্বপ্ন দেখছেন তখন আপনি বলতে পারবেন যে আপনি মস্তিষ্কের ভ্ন্নি একটি অংশের ব্যায়াম করছিলেন। টিপস: রিল্যাক্স করতে অসুবিধে হলে যোগব্যায়াম কিংবা মাইন্ডফুলনেস চর্চার সাহায্য নিতে পারেন। এগুলো আপনার দেহের স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করবে। ৫. নতুন কিছু করুন ছবির ক্যাপশান,নতুন কিছু শেখার মধ্য দিয়ে মগজকে আরো সক্রিয় করে তুলুন। মগজের শক্তি বৃদ্ধির একটা পথ হলো নতুন কোন কাজ করার জন্য মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করা। ছবি আঁকা কিংবা বিদেশি ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে এটা করা সম্ভব। টিপস: নিজে কিংবা বন্ধুদের সাথে নিয়ে অনলাইন গেমস খেলুন। শুধু নিজেকে চ্যালেঞ্জ করাই না, এর মধ্য দিয়ে অন্যদের সাথে সামাজিক যোগাযোগও বাড়বে। ৬. সুরের মাঝে লুকিয়ে আছে শক্তি ছবির ক্যাপশান,সুরের মাধ্যমে জেগে ওঠে মস্তিষ্ক। বাড়ে মেধা। সঙ্গীত যে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে। কেউ গান শোনার সময় যদি তার মস্তিষ্কের ছবি তোলা যায়, তাহলে দেখা যাবে পুরো মস্তিষ্ক সুরের প্রভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মস্তিষ্ক সঙ্গীতের স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে। এটা ডিমেনশিয়ার মত মানসিক অবস্থা ঠেকাতে বেশ কার্যকরী। টিপস: গানের দল বা কয়্যারে যোগ দিন। আপনার প্রিয় ব্যান্ডের গানের অনুষ্ঠান দেখতে যেতে পারেন। ৭. বিছানায় শুয়ে পরীক্ষার পড়া ছবির ক্যাপশান,বিছানার ওপর শুয়ে-বসে পড়ার সুফল রয়েছে।, বলছেন বিজ্ঞানীরা। দিনের বেলা যখন আপনি নতুন কিছু শিখছেন, তখন আপনার মস্তিষ্কে এক স্নায়ুকোষের সাথে নতুন একটি স্নায়ুকোষের সংযোগ তৈরি হয়। আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়েন তখন সেই সংযোগ আরও জোরদার হয়। এবং যা শিখেছেন তা স্মৃতি হিসেবে জমা হয়। এক পরীক্ষায় জানা যাচ্ছে, আপনি যদি শোবার আগে কাউকে একটা লিস্ট দিয়ে বলেন সেটা মুখস্থ করতে, তাহলে পরদিন সকালে সে সেটা খুব সহজেই মনে করতে পারবে। কিন্তু যদি সেই একই লিস্ট সকাল বেলা দিয়ে বলেন সন্ধ্যের সময় মুখস্থ বলতে তাহলে সেটা মনে করা বেশ কঠিন হবে। তবে কোন দু:খের স্মৃতি নিয়ে শোবার সময় চিন্তাভাবনা না করাই ভাল। এতে মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একই কারণে শোবার আগে হরর ছবি দেখাও বারণ। এর বদলে সারা দিনের যেসব ভাল ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো মনে করার চেষ্টা করুন। টিপস: পরীক্ষার পড়ার সময় প্রশ্নের জবাবগুলো শোবার সময় মনে করার চেষ্টা করুন। এবং চেষ্টা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ুন। ৮. ঘুম যখন ভাঙল ছবির ক্যাপশান,দিনের শুরুর সাথে তাল মিলিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠুন। ঘুমের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুম হলে মস্তিষ্ক সজাগ হওয়ার সময় পায় না। কিন্তু দিনের পুরোটাকে ভালভাবে কাজে লাগানোর চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে কিভাবে আপনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তার মধ্যে। সবচেয়ে ভাল হয় ঘুমাতে যাওয়ার সময় ঘর অন্ধকার থাকলে, এবং প্রভাতে দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে জেগে উঠতে হয়। সূর্যের কিরণ যখন আপনার বন্ধ চোখের পাতা ভেদ করে ঢুকে পড়ে, তখন সেটা মস্তিষ্ককে কর্টিসল হরমোন ছড়িয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করে। এর ফলে আপনি জেগে ওঠেন। তাই কী পরিমাণ কর্টিসল হরমোন আপনার দেহে ছড়িয়ে পড়ে, তার ওপর নির্ভর করবে দিনটা আপনার কেমন যাবে। টিপস: এমন অ্যালার্ম ক্লক ব্যবহার করুন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে যার সুর ক্রমশই বাড়তে থাকে। তবে যাদের ঘুম কুম্ভকর্ণের মতো তাদের প্রয়োজন জেলখানার পাগলা ঘণ্টির মতো অ্যালার্ম ক্লক!
নীরব ঘাতক হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করেই নিভিয়ে দেয় জীবনপ্রদীপ। ঝুঁকি কমাতে কিভাবে নিয়মমাফিক জীবন যাপন করবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন— ডা. অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী সাবেক অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ কারণ রক্তনালির পথ বন্ধ হয়ে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি যখন হৃদযন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। আগেভাগে বলা যায় না কখন হার্ট অ্যাটাক হবে। তাই যে কেউ যেকোনো সময় এতে আক্রান্ত হতে পারেন। বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও দুশ্চিন্তার কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। উপসর্গ * বুক ব্যথা হওয়া * ব্যথা বুকের মাঝখান থেকে চোয়াল, কাঁধ ও পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া * শ্বাসকষ্ট * চোয়ালে ব্যথা * কাশির সঙ্গে ঘোলাটে কফ। * ক্লান্তি লাগা ও বুক ধুকপুক করা। * কাজ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। * হৃৎস্পন্দনের দ্রুত ওঠানামা। করণীয় হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে শরীরচর্চা করতে হবে। দিনে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। একেবারে না পারলে সকালে, বিকালে ও রাতে ১০ মিনিট করে হাঁটতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ফাস্ট ফুড খাওয়া যাবে না। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খাবারের তালিকায় রাখুন শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও ফল, বাদাম, ওটমিল, মটরশুঁটি, বীজ, ডাল, লাল চাল, লাল আটা। রাতের ঘুমও আপনাকে ভালো রাখবে। রান্নায় জলপাই তেলের ব্যবহার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। লাল মাংস খেলেও প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা মাত্র রোগীকে কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করাতে হবে। সুস্থ হওয়ার পর নিয়ম মেনে চললে দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমানো যাবে।