নীরব ঘাতক হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করেই নিভিয়ে দেয় জীবনপ্রদীপ। ঝুঁকি কমাতে কিভাবে নিয়মমাফিক জীবন যাপন করবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন—
ডা. অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ
কারণ
রক্তনালির পথ বন্ধ হয়ে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি যখন হৃদযন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। আগেভাগে বলা যায় না কখন হার্ট অ্যাটাক হবে। তাই যে কেউ যেকোনো সময় এতে আক্রান্ত হতে পারেন।
বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও দুশ্চিন্তার কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
উপসর্গ
* বুক ব্যথা হওয়া
* ব্যথা বুকের মাঝখান থেকে চোয়াল, কাঁধ ও পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া
* শ্বাসকষ্ট
* চোয়ালে ব্যথা
* কাশির সঙ্গে ঘোলাটে কফ।
* ক্লান্তি লাগা ও বুক ধুকপুক করা।
* কাজ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
* হৃৎস্পন্দনের দ্রুত ওঠানামা।
করণীয়
হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে শরীরচর্চা করতে হবে। দিনে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। একেবারে না পারলে সকালে, বিকালে ও রাতে ১০ মিনিট করে হাঁটতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ফাস্ট ফুড খাওয়া যাবে না। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খাবারের তালিকায় রাখুন শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও ফল, বাদাম, ওটমিল, মটরশুঁটি, বীজ, ডাল, লাল চাল, লাল আটা। রাতের ঘুমও আপনাকে ভালো রাখবে। রান্নায় জলপাই তেলের ব্যবহার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। লাল মাংস খেলেও প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা মাত্র রোগীকে কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করাতে হবে। সুস্থ হওয়ার পর নিয়ম মেনে চললে দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমানো যাবে।